হিরো আলমের মুচলেকা, যা বললেন সেই মণি চৌধুরী
হিরো আলম রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার পর বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে তার সমালোচনা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন প্রতিবাদ। তরুণ কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার মণি চৌধুরী তাদের একজন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া তার একটি প্রতিবাদমূলক স্ট্যাটাস তখন সাড়া ফেলেছিল।
বুধবার হিরো আলম আর কখনো রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নজরুল গীতি গাইবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন। তার এই বোধদয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সেই মণি চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সুস্থ সংস্কৃতির জন্য এটা বিরাট সুখবর। হিরো আলমের মতো যারা অপসংস্কৃতি চর্চা করছেন তাদেরকেও নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি।
যুগান্তরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মণি চৌধুরী বলেন, তখন আমি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। আমি একজন সঙ্গীতশিল্পী। গান আমার সন্তান। এটাকে কেউ খারাপভাবে উপস্থাপন করলে প্রতিবাদ করাটা আমার দায়িত্ব। আমি তাই করেছি। হিরো আলম বিকৃত সংস্কৃতি চর্চা থেকে বেরিয়ে আসবে এটা নিঃসন্দেহে আমাদের সুস্থ সংস্কৃতির জন্য ভালো খবর।
হিরো আলমকে নিয়ে তিনি বলেন, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, ভাঁড়ামি কিংবা বিকৃত কোনো কিছুর চর্চা করে কিছু মানুষের হাসির খোরাক হওয়ার মাঝে আমি আসলে কোনো সৃষ্টিশীলতা খুঁজে পাই না। মানুষের মূল্যায়ন সে কতটা সৃষ্টিশীল। আমি তার মাঝে এমন কিছু খুঁজে পাইনি যা দিয়ে তার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানানো যায়।
তিনি যোগ করেন, হিরো আলমের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব অতীতে ছিল না। এখনো নেই। আমি শুধু তার অপসংস্কৃতি চর্চার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। বিকৃত সংস্কৃতি চর্চার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচত। আমিও সেটাই করেছি। তার গান কিংবা অন্যান্য কন্টেন্ট নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। যা বলার দর্শক-শ্রোতারাই বলে থাকেন। আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছেন। হিরো আলমের প্রতি আমার কোনো পরামর্শ আগেও ছিল না, এখনো নেই। পরামর্শ সবার জন্য না।
মণির সংযোজন, শুধু হিরো আলম নন, অপসংস্কৃতির চর্চা অনেকেই করছেন এটা সত্য। তবে আমি মনে করি, হিরো আলমকে কেউ ছাড়াতে পারেনি। ইউটিউব, ফেসবুকে যারা অপসংস্কৃতিমূলক কন্টেন্ট তৈরি করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
মণি চৌধুরীর লেখা প্রায় ১৭টির মতো গান প্রকাশিত হয়েছে। আরও ডজনখানেক গান প্রকাশের অপেক্ষায়। একক ও ডুয়েট মিলিয়ে তার গাওয়া প্রকাশিত গানের সংখ্যা প্রায় ২৬টি।
Comments
Post a Comment